বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দেয়ায় নারী মারিয়াম নাবাতানজি ও মিসেস ভাসিলিয়েভ

 বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দেয়ায়

নারী মারিয়াম নাবাতানজি ও মিসেস ভাসিলিয়েভ

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দেয়ায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড এ নাম উঠেছে রাশিয়ার মস্কোর সুইয়া নামক গ্রামের এক কৃষক ফেদেরাও ভাসিলিয়েভের স্ত্রী মিসেস ভাসিলিয়েভ। কৃষক ফেদেরাও ভাসিলিয়েভের স্ত্রী মিসেস ভাসিলিয়েভ ৬৯ জন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।

তিনি ১৭২৫ সাল থেকে ১৭৬৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি গর্ভধারণ করেই কাটিয়েছেন। তিনি তার জীবনে সর্বমোট ২৭ বার গর্ভধারণ করেন।

তিনি যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ১৬ বার, একসাথে ৩ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ৭ বার, একসাথে ৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ৪ বার।

তার জন্ম দেওয়া ৬৯ জন শিশুর মধ্যে ৬৭ জন সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে ছিলো এবং বাকি ২ জন শৈশবে মারা যায়।

বেঁচে যাওয়া ৬৭ সন্তান

১৭৮৩ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে বাণিজ্য করতে যাওয়া এক বণিক সেসময়কার ‘জেন্টলম্যানস ম্যাগাজিন’ নামে এক ম্যাগাজিন পত্রিকায় চিঠি পাঠান।

৬৯ জন সন্তানের জন্মের খবর ম্যাগাজিনের কাছে পৌঁছানোর পর পুরো পশ্চিমা বিশ্বে সারা ফেলে দেয়। তারো আগে ১৭৮২ সালে মস্কোর নিকোলস্কের একদল সন্ন্যাসী ৬৯ জন সন্তানের জন্ম সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। যা একজন মায়ের সর্বোচ্চ সন্তান প্রসবের রেকর্ড।

আরো পড়ুন: মহাবিশ্বের সূচনা | বিগ ব্যাং থিওরি | মায়াবী জগত

আমেরিকার ‘ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার’ এর তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার একটি পরিবারের একজন সন্তানকে লালন-পালন করার জন্য প্রত্যাশিত গড় খরচ হলো প্রায় ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬১০ ডলার।

আমেরিকার ‘ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার’ গবেষণা সংস্থাটি ১৯৬০ সাল থেকে এই বিষয়ে গবেষণা করে তথ্য প্রদান করে আসছে।

সেই হিসেবে বেঁচে থাকা শিশুরা বর্তমানে জন্মালে তাদের লালন-পালন করার জন্য প্রত্যাশিত গড় খরচ লাগতো প্রায় ১.৫ কোটি ডলারের বেশি, টাকায় সেই সংখ্যা বিশাল।

মিসেস ভাসিলিয়েভ নারী হিসেবে অত্যন্ত শক্তিশালী একজন নারী ছিলেন। সে সময় নারীর সন্তান জন্মহারের মৃত্যু হার ছিলো খুবই বেশি।

এবং ওই সময়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ছিলো যা তা। তারপরেও মিসেস ভাসিলিয়েভ এতোগুলা সন্তান জন্ম দিয়েও দীর্ঘকাল বেঁচে ছিলেন।

তবে সাম্প্রতিক সময়ের এক মহিলা মিসেস ভাসিলিয়েভ এর কাছাকাছি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নাবাতানজি উগান্ডার এক গ্রামাঞ্চলের নারী মরিয়ম।

মরিয়ম তার জীবনে ৪৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। মরিয়ম এর জীবন ছিল খুবই কঠিন তিনি ২৫ সন্তানের জননী হয়েছিলেন মাত্র ২৩ বছর বয়সেই।

মারিয়াম নাবাতানজি ও তার সন্তানেরা

মরিয়ম নাবাতানজি ও ভাসিলিয়েভ এর মতো মা দের বিশেষ শ্রেণীর নারী ভাবা হয়। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড তাদেরকে ‘সর্বকালের সর্বজনীন মা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে, এর অর্থ হল তারা বারবার গর্ভধারণের পরেও মাতৃমৃত্যু থেকে বেঁচে থাকার ভাগ্যবান বিভাগে রয়েছে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সিডিসির প্রকাশিত রেকর্ড মতে প্রতি ১০০,০০০ জীবিত জন্মের জন্য, মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার ২৩.৮%!

সিডিসি আরো বলছে যে, হিস্পানিক ও শ্বেতাঙ্গ নারীদের তুলনায় কালো নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর ঝুঁকি ২.৯ গুণ বেশি। যাইহোক, সম্পর্কিত বিশ্বব্যাপী গর্ভাবস্থা- জটিলতায় বছরে মোট ৩ লক্ষ মহিলা মারা যায়।

মারিয়াম নাবাতানজি ও মিসেস ভাসিলিয়েভ বর্তমানের প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর মত মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবা পান নি, কিন্তু মারিয়াম নাবাতানজি ও মিসেস ভাসিলিয়েভ স্বাভাবিক ভাবেই সন্তান প্রসব করে বেঁচে গিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন: ডার্ক ম্যাটার কী? | What is Dark Matter?

মারিয়াম নাবাতানজি ও মিসেস ভাসিলিয়েভ বেঁচে গেলেও জীবনে কখনো সুখ শান্তি পান নি। সারাজীবন গর্ভধারণ করে জীবন কাটিয়ে দেয়া আর এতো বার সন্তান জন্ম দেয়া  কম কষ্টের ব্যপার না।

If you like my content, feel free to share it on your favorite social network.

Author,

#muktarhossain

#30minuteeducation

#twolearning # #টুলার্নিং #two #learning #2learning #voiceofmuktar